ঢাকা রবিবার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১০ আগস্ট ২০২১

রুদ্রুরূপে সৌম্য ; শীর্ষে থেকে প্লে অফে চট্টগ্রাম


নিউজ ডেস্ক
135

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০২০
রুদ্রুরূপে সৌম্য ; শীর্ষে থেকে প্লে অফে চট্টগ্রাম



ক্রিকেটবোদ্ধারা বলেন, লিটন দাস আর সৌম্য সরকার যখন একসঙ্গে ওপেন করতে নামেন, সেটা ক্রিকেটের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হয়ে যায়। দুজন ছন্দে থাকলে তো কথাই নেই, একজন জ্বলে উঠলেও তা হয় দেখার মতো। চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন লিটন দাস। সৌম্য নিজেকে ফিরে পেতে পেতে আজ জ্বলে উঠলেন আপন মেজাজে। ফরচুন বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ৭ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষ দল হিসেবেই প্লে অফ নিশ্চিত করল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ম্যান অব দ্য ম্যাচ সৌম্য সরকার। আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে ১৪৯ রানে আটকে দেয় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের নিয়মিত চার ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বরিশালকে ভালো সুচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হোসেন। ১০.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৭ রান তুলে নেয় এই জুটি। সুচনা দেখে মনে হচ্ছিল অন্তত ২০০ রান সংগ্রহ করবে বরিশাল। কিন্তু সেটি হয়নি। প্রথম উইকেট পতনের পরই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ৩৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৬ রানে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাইফ হাসান। সাইফের বিদায়ের পরপরই মোসাদ্দেকের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ক্রিজ ছাড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বিদায়ের আগে জাতীয় দলের এই ওপেনার ৫টি চারের সহায়তায় ৩৯ বলে সংগ্রহ করেন ৪৩ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের পর দৃশ্যপটে আসেন সঞ্জিত সাহা ও জিয়াউর রহমান। এই দুই বোলার একেবারেই কোণঠাসা করে ফেলেন বরিশালের ব্যাটসম্যানদের। শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেনের ১৬ বলে অপরাজিত ২৮ রানে ভর করে চট্টগ্রামের সামনে ১৫০ রানের টার্গেট দাঁড় করাতে সক্ষম হয় বরিশাল। দুটি করে উইকেট নেন সঞ্জিত, মোসাদ্দেক ও জিয়াউর রহমান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫০ রানের টার্গেট ৮ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে সহজেই টপকে যায় চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন সৌম্য সরকার। ৩৭ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় তিনি নিজের ইনিংসটি সাজান। মিরপুরে দেখা যায় চোখ ধাঁধানো সব শট। সৌম্যর আজকের ওপেনিং পার্টনার সৈকত করেছেন ৩৩ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৩৯ রান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ৩১ ও মোসাদ্দেক হোসেন ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। এই নিয়ে ৭ ম্যাচের ছয়টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম। তাদের ধারেকাছে কেউ নেই। খুলনা ৮ ম্যাচে ৮ এবং ঢাকা ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন:

বিষয়: