এনার্জিপ্যাকের মুনাফা বৃদ্ধির সুফল বিনিয়োগকারীরা পাবেন
নিউজ ডেস্ক
126
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২০
মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান : বুক বিল্ডিং পদ্ধতি পুঁজিবাজারে আসছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইলেক্ট্রা মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করছে কোম্পানিটি। ইতোমধ্যে কোম্পানিটিকে ইলেক্ট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রান্ত-সীমা মূল্য (কাট অফ প্রাইস) নির্ধারনের জন্য বিডিংয়ের অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটিকে আমাদের ম্যানেজমেন্ট আরও বড় পরিসরে দেখতে চায়। আইপিও’র মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে কোম্পানিটি। এই অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি এলপিজি প্রকল্পের ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। এলপিজি প্রকল্পের ব্যবসা সম্প্রসারণ হলে কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পাবে। আর কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধির সুফল বিনিয়োগকারীরাও পাবেন। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিতভাবেই এনার্জিপ্যাকের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঠকানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। দেশের এনার্জি পাওয়ার সেক্টরে আমাদের একটা সুনাম রয়েছে। ম্যানেজমেন্ট কখনই চাইবে না এই সুনাম নষ্ট হোক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনার্জিপ্যাকের মতো লাভজনক প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসা উচিত। বিএসইসির উচিত এই ধরনের কোম্পানিগুলোকে বাজারে আসতে সহায়তা করা।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি হিসেবে এনার্জিপ্যাক সুপরিচিত। প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য শেয়ারের মালিক প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। সুনির্দিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে মুনাফার বিষয়টি বন্টন করা হয়ে থাকে। যাত্রার শুরু থেকেই এনার্জিপ্যাক কর্মীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকলের মাঝে সুনাম অর্জন করেছে। এনার্জিপ্যাক বিশ্বাস করে, আজকের এই সাফল্যের মূল ভিত্তি হলো তাদের অদম্য কর্মীরা এবং কর্মীদের সৃজনশীলতা, আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। প্রতিটি কর্মীর দায়িত্ব, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্যমের মাধ্যমেই এনার্জিপ্যাক বাংলাদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
জানা যায়, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। এরপর থেকেই সুনাম ও দক্ষতার সাথে পাওয়ার জেনারেশন, এনার্জি ইনফ্রাস্ট্রাকচার, কমার্শিয়াল অটোমোটিভ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও কমার্শিয়াল বিল্ডিং এবং অ্যাসেমব্লিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ২৫ বছরের যাত্রায় প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে নানা সম্মান ও স্বকৃতি। যার মধ্যে রয়েছে: আইএসও ৯০০১-২০১৫ এবং সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড, জেএসির জন্য গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাওয়ার্ড ও বেস্ট ব্র্যান্ড প্রোমোশন অ্যাওয়ার্ড।
ম্যানুফ্যাকচারিং এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির জি-গ্যাস ও স্টিলপ্যাক এর জন্য রয়েছে আধুনিক ফ্যাক্টরি এবং জেএসি ও গ্ল্যাড এর জন্য রয়েছে অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট। এবং ট্রেডিং ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি আনকাই, জেসিবি, লিফটস অল,শ্যাকম্যান, জন ডিয়ার, উডওয়ার্ড, সিমেন্স, এফজি উইলসন এবং হেলির মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের স্টিলপ্যাক ব্র্যান্ড বাণিজ্যিক এবং আবাসিক সবরকম স্টিল বিল্ডিং এর কমপ্লিট স্টিল কনস্ট্রাকশন সার্ভিস প্রদান করে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির একটি উল্লেখযোগ্য ফুটপ্রিন্ট হলো জ্বালানি খাতের অন্যতম এলপিজি ব্র্যান্ড জি-গ্যাস এলপিজি। দেশের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় রান্নার জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি যেটি শিল্প, বাণিজ্যিক এবং গাড়ির জ্বালানি সেবা প্রদান করে থাকে। গ্রাহকের ব্যাপক আস্থা এবং চাহিদার ফলে জি-গ্যাস তথা এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন তার এলপিজি অবকাঠামো সম্প্রসারণের ও উন্নয়নে পরিকল্পনা ও গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সর্বোপরি, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির চাহিদা পূরণে এনার্জিপ্যাক যেকোন স্তরে গ্রাহকদের এন্ড-টু-এন্ড সমাধান নিশ্চিত করে থাকে। এনার্জিপ্যাকের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সর্বস্তরে জ্বালানির ঘাটতি পূরণ করা এবং গ্রাহককে উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে একক এবং সমবেতভাবে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। কোম্পানি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ৪৫.১৫ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতিত) দাঁড়িয়েছে ৩০.২০ টাকায়। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩.১৩ টাকা। বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.২১ টাকা। ৩০ জুন, ২০১৭ পর্যন্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫শ’ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
আরও পড়ুন:
অন্যান্য সম্পর্কিত আরও
বিদায়েও গৌরব কমছে না ফিলিস্তিনের
৩০ জানুয়ারী ২০২৪
মাস্টার ফিড এগ্রোতে সাড়ে ৩৭ গুণ বেশি আবেদন
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
কিউআইও’র মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত সলিড ফিডের
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোস্তফা মেটালের কিউআইওতে আবেদন শুরু ২৬ সেপ্টেম্বর
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
মাস্টার ফিডের কিউআইওতে আবেদন শেষ কাল
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোস্তফা মেটালের কিউআইওতে আবেদন শুরু ২৬ সেপ্টেম্বর
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১