সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, আগামী বছরের অক্টোবর-নভেম্বরেই হবে টুর্নামেন্ট, ফাইনাল ১৪ নভেম্বর। ২০২১ সালের বিশ্বকাপ পিছিয়ে হবে ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে, ফাইনাল ১৩ নভেম্বর।
তবে একটি বড় সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে আছে, কোন আসরের আয়োজক দেশ কোনটি। এবার পিছিয়ে যাওয়া আসর আগামী বছরই আয়োজনে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু আগের সিদ্ধান্ত মতোই ২০২১ সালের আসর আয়োজন করতে চায় ভারত। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজকও তারা। এক বছরের মধ্যে দুটি বিশ্বকাপ আয়োজনে তারা গররাজি। দুই বোর্ডের আলোচনা চলছে এখনও।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়েও একটি বড় সিদ্ধান্ত অবশ্য হয়েছে আইসিসির এই সভায়। ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল এই টুর্নামেন্ট। এখন তা পিছিয়ে গেছে ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে। ফাইনাল ২৬ নভেম্বর। মূলত ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য আরেকটু সময় ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। ওডিআই সুপার লিগ দিয়ে হওয়ার কথা এই বাছাই প্রক্রিয়া, যা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত মে মাসে। করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে গেছে সেটিও।
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বাস্তবতায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়া অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তারা গত কিছুদিনে কয়েকবারই বলেছেন, এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ‘প্রচণ্ড ঝুঁকির হবে’ এবং ‘না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’ আইসিসি তবু চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে সময় নিয়েছে।
সম্প্রতি মেলবোর্নে পরিস্থিতি একটু অবনতি হওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বেশ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এত বড় টুর্নামেন্টকে ঘিরে যে প্রস্তুতি ও বিশাল কর্মযজ্ঞ, সেটি ক্রমশ হয়ে উঠছিল কঠিন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থা বেশ নাজুক। বৈশ্বিক ভ্রমণ পরিস্থিতিও সহসা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১৬ টি দলকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়া, ‘জীবাণুমুক্ত’ পরিবেশ তৈরি করা ও আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছু সময়ের বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মেয়েদের বিশ্বকাপ আপাতত সূচি অনুযায়ী আয়োজনের প্রস্তুতি চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আইসিসি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
সূত্র : বিডিনিউজ