ধৈর্য ধরে সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : রকিবুর রহমান
নিউজ ডেস্ক
218
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)পরিচালক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদেরকে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,’আতঙ্ক নয়, ধৈর্য ধরে সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে আমাদের’।
শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। রকিবুর রহমান পুঁজিবাজারের বাণিজ্যিক ব্যাংকের উদ্যোক্তা এবং প্রধান নির্বাহীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা অতীতে চড়া দামে শেয়ার বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করেছেন। এমন ঘটনাও আছে, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার ২০০ টাকা দরে তারা বিক্রি করেছেন। এখন ওই শেয়ারের দাম ৬-৭ টাকা।
তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, শেয়ারের দাম এতটা কমে যাওয়ার ঘটনায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আপনাদের প্রাণ কী কাঁদে না?
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তারা যদি ১ কোটি করে শেয়ার কিনেন, তাহলেই কিন্তু বাজার পরিস্থিতি অনেকটা বদলে যেতে পারে।কারণ বাজারমূলধনে ব্যাংকের অংশই সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, উদ্যোক্তারা শেয়ার কিনলে শেয়ারের দাম কিছুটা বাড়বে। তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যাবে। তারচেয়েও বড় কথা, তারা একটু স্বস্তি পাবেন, তাদের আস্থা বাড়বে এটা ভেবে যে উদ্যোক্তারা তাদের পাশে আছেন।
ডিএসইর এই পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া বিশেষ তহবিল সুবিধা কাজে না লাগানোয় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি গত সপ্তাহে বিভিন্ন ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওই বৈঠকে বেশিরভাগ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়ে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জবাবে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, তারা এসব সমস্যা তাদের ফোরামে আলোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এনেছেন কি-না। তারা জানিয়েছেন, তারা তা করেননি।
মোঃ রকিবুর রহমান এই প্রসঙ্গ টেনে তাদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করার মতো ঔদ্ধত্য তারা কোথায় পান?
তিনি অভিযোগ করেন, যদি কোনো ব্যাংকের উদ্যোক্তা-পরিচালক বেনামে কোনো ঋণ চাইতেন অথবা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাউকে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করতেন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই ব্যাংকের এমডিরা তা অনুমোদন করতে এতটা বিলম্ব করতেন না।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতার জন্য রকিবুর রহমান দুটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। এর একটি হচ্ছে-ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অন্যটি হচ্ছে বাই-ব্যাক আইন প্রণয়ন।
তিনি বলেন, আমাদের বাজারমূলধনের ২৭ শতাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই)দখলে।তাই এই খাতের যে কোনো সমস্যা বাজারকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে। ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের অরাজকতা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন না হলে শুধু পুঁজিবাজার নয়, পুরো অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাই-ব্যাক আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোম্পানির বাই-ব্যাক ব্যবস্থা থাকলে ভাল কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ারের মূল্য একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে গেলে বাজার থেকে নিজের শেয়ার কিনে নিতে পারবে।এতে শেয়ারের দাম বেড়ে ওই সীমার উপরে উঠে আসবে। অন্যদিকে লাগামছাড়া পতনের ভয় থাকবে না বলে বিনিয়োগকারীরা কখনোই আস্থা হারাবেন না।
আরও পড়ুন:
অথনীতি সম্পর্কিত আরও
প্রচ্ছন্ন রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা চায় বিজিএপিএমইএ
১৩ জুন ২০২৪
ক্যাপিটাল গেইনে কর আরোপ প্রস্তাব থাকছেনা চূড়ান্ত বাজেটে
১২ জুন ২০২৪
ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
১১ জুন ২০২৪
ইউরোপসহ ৩৮ দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের আম
১০ জুন ২০২৪
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন: অর্থমন্ত্রী
০৮ জুন ২০২৪
৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ আজ
০৬ জুন ২০২৪