ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ জানুয়ারীজানুয়ারী ২০২৪
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় স্যার ফজলে হাসানকে


নিউজ ডেস্ক
127

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারীফেব্রুয়ারি ২০১৯
গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় স্যার ফজলে হাসানকে



স্টাফ রিপোর্টার : সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়া হয়েছে। সেখানে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় তাকে শেষ বিদায় জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। রবিবার, ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তার মরদেহ সাদা ফুলে ঘেরা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হয়। প্রথমেই রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের পক্ষে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেজর আশিকুর রহমান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান উপ-সামরিক সচিব কর্নেল সাইফুল্লাহ পিএসসি। তারপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানিম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষে রিদওয়ানুল হক। এছাড়াও শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়, বিকাশ, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা, কারিতাস, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ফেডারেশন এনজিও অব বাংলাদেশ, বাংলা একাডেমি ও প্রশিকা। ইতোমধ্যে ফুলে ফুলে ছেঁয়ে গেছে স্যার ফজলে হাসান আবেদের কফিন। একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাদের প্রিয় আবেদ স্যারকে। শ্রদ্ধা নিবেদন চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এরপর সেখানেই মরহুমের জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে দুপুর ১টায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ ব্যক্তিত্বকে। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস চেয়ার স্যার ফজলে হাসান আবেদ শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধী অবস্থায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ২৮ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর তিনি ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বাদ দিয়ে তিনি লন্ডনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্টসে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি তার প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন।

আরও পড়ুন: